করোনাভাইরাস প্রতিরোধসহ জরুরি পরিস্থিতিতে মোকাবিলায় স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সার্বিক সহযোগিতা দেয়ার জন্য শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পুরস্কার দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই)। যারা দায়িত্ব পালন করছেন না তাদেরও তালিকা চাওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, যারা এমন বর্তমান পরিস্থিতিতে নিজ দায়িত্ব পালন করছেন তাদের ডিপিই থেকে পুরস্কার দেয়া হবে। আর যারা দায়িত্ব ফাঁকি দেবেন তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাসহ বিভাগীয় মামলা পর্যন্ত করা হতে পারে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মঙ্গলবার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহ জাগো নিউজকে বলেন, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে নির্দেশনা মান্য করে যারা মাঠ প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতামূলক দায়িত্ব পালন করছে তাদের তালিকা পাঠাতে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের চিঠি দেয়া হয়েছে। যারা দায়িত্ব পালন করছে না তাদেরও তালিকা চাওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, দায়িত্ব পালনকারীরা কী ধরনের দায়িত্ব পালন করছে তার ওপর ভিত্তি করে তাদের পুরস্কার দেয়া হবে। দায়িত্বে অবহেলাকারীদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ কঠোর শাস্তিরও ব্যবস্থা থাকবে। আর যারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কর্মস্থলে ছিলেন তাদের জন্য পেশাগত জায়গায় বিশেষ সুযোগের ব্যবস্থা থাকবে।
এ ব্যাপারে ঢাকা প্রাথমিক জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আলেয়া ফেরদৌসী শিখা জাগো নিউজকে বলেন, মাঠ প্রশাসকদের সঙ্গে প্রাথমিকের যেসব শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা দায়িত্ব পালন করছেন কি-না, কী ধরনের দায়িত্ব পালন করছেন এসব তথ্য চাওয়া হয়েছে। যারা কাজ করছেন না তাদেরও তালিকা চাওয়া হয়েছে। গত ১০ মে ডিপিই থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে আগামী ১৭ মের মধ্যে এসব তথ্য ছক আকারে দিতে বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, এ সংক্রান্ত চিঠি পাওয়ার পর আমরা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের পাঠিয়েছি। তারা তথ্য পাঠালে সকল তথ্য একত্রিত করে ডিপিইতে পাঠানো হবে।
এর আগে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এ সংক্রান্ত এক নির্দেশনায় বলা হয়, প্রত্যেক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিজ নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ও এর প্রাদুর্ভাবজনিত যেকোনো জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্থানীয় প্রশাসনকে সার্বিক সহযোগিতা করার জন্য নির্দেশনা দেয় ডিপিই।
সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে, কোনো কেনো কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মস্থলে অবস্থান না করে অন্যত্র অবস্থান করছেন, যা সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর পরিপন্থী। বিষয়টি অতীব জরুরি উল্লেখ করে নির্দেশনায় বলা হয়, করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ও এর প্রাদুর্ভাবজনিত যেকোনো জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্থানীয় প্রশাসনকে সার্বিক সহযোগিতা দেয়ার জন্য সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিজ নিজ কর্মস্থলে অবস্থান নিশ্চিত করার জন্য নির্দেশক্রমে পুনরায় অনুরোধ করা হয়। পরে যারা কর্মে যোগদান করেননি তাদের তালিকা চায় মন্ত্রণালয়।